শিশু ধর্ষণ, যুবলীগ নেতা হাতেনাতে ধরা

সংখ্যালঘু পরিবারের এক শিশুকে ধর্ষণ করার সময় স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়েছেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার এক যুবলীগ নেতা। শিশুটির মা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। শামছুল মিয়া চৌধুরী (৩২) নামের ওই ব্যক্তি উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধর্ষণ করার সময় হাতেনাতে আটক করে। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত শামছুল মিয়ার হুমকিতে রাতে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তবে আজ শনিবার সকালে শিশুটির মা শামছুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। দুপুরে তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ওই শিশুটি ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়েছিল। রাতে প্রতিবেশী শামছুল দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। শিশুটির চিৎকারে তার মা কক্ষে ঢুকে শামছুলকে ধর্ষণ করতে দেখে চিৎকার দেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তাঁরা শামছুলকে ওই ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তখন শামছুল মিয়া সেখানে উপস্থিত সবাইকে শাসিয়ে বলেন, এ ঘটনা নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে তিনি তাঁকে ‘দেখে নেবেন’। তখন লোকজন ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মাহমুদ আলীকে ডেকে আনে। মাহমুদ আলী রাত দুইটার দিকে শামছুলকে অনুরোধ করে ওই ঘর থেকে বাইরে নিয়ে আসেন।

ওই এলাকার লোকজন জানায়, শামছুল বিবাহিত। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে।

মাহমুদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, শামছুল কাগাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তাঁর পরিবার এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী। এ কারণে ভয়ে কেউ তাঁর কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে সাহস করে না।

ওই শিশুর মা বলেন, ঘটনার পরও শামছুল তাঁদের শাসিয়ে গেছেন, যেন মামলা না করেন। এমনকি শামছুলের পক্ষ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাঁদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তাঁরা মামলার পরিবর্তে সালিসের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চান।

এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এরপর আজ শামছুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।