লতিফের আসনে লড়বে কাদের সিদ্দিকীর দল

টাঙ্গাইল-৪ (কালীহাতি) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবে কাদের সিদ্দিকীর দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। দলটি মনে করে, এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও সরকার তাদের দুর্নাম ঘোচানোর সুযোগ পাবে।

আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার। কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের কারণে এ আসনটি শূন্য হয়।

লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় বর্তমানে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) আসন শূন্য হওয়ায় আজ শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত দলের বর্ধিত সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এই উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আশা করতে চাই অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে নানাবিধ কর্মকাণ্ডের কারণে সমালোচিত নির্বাচন কমিশন ও সরকার তাদের দুর্নাম ঘুচানোর এ সুযোগ হাত ছাড়া করবেন না।’

পরে কাদের সিদ্দিকী নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয় ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন এবং উপনির্বাচনের মধ্যে লক্ষ কোটি গুণ পার্থক্য আছে। পৃথিবী যত দিন থাকবে নামে হোক বেনামে হোক গণতান্ত্রিক সরকার বা অগণতান্ত্রিক হোক সকল উপনির্বাচন সরকারের সময়েই হবে। উপনির্বাচনের সময় কোনো সরকার বদল হবে না। আমি সরকারের অধীনে নির্বাচন করছি না; আমি না, আমাদের দল অংশগ্রহণ করছে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন। দুটি দল ছাড়া খেলা দেওয়া যায় না। মানুষের খেলা দেখার দরকার আছে।’ তাঁর বক্তব্যে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হজ ও তাবলিগ জামায়াত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রিত্ব হারান এবং দল থেকে বহিষ্কৃত হন। আওয়ামী লীগ থেকে তাঁর সংসদ সদস্যপদ বাতিলের আবেদন করা হলে স্পিকার তা নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠান। লতিফ সিদ্দিকী এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নেই বলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর তিনি লিভ টু আপিল করলে ২৩ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট তাও খারিজ করেন। একই দিন তিনি নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে উপস্থিত হয়ে বলেন, তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন। তাই এ বিষয়ে শুনানির প্রয়োজন নেই।