'৯৬-র শেয়ার কেলেঙ্কারির চার আসামি আদালতে

১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলায় চার আসামি আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আদালতে হাজির হয়েছেন। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলার পুনরায় শুনানি শুরু হবে কি না, সে বিষয়ে আজ আদেশ দেবেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।

এই মামলার আসামিরা হলেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান র‍্যাংগস গ্রুপের চেয়ারম্যান এ রউফ চৌধুরী, এইচআরসি গ্রুপ ও ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী এবং ব্যবসায়ী মসিউর রহমান ও অনু জায়গিরদার। ’৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ ও প্রতিষ্ঠানটির চার মালিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় তাঁরা আসামি।

শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনার পর সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ মামলা করে।

শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনার সময় তাঁরা সবাই প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এর আগে আদালত তাঁদের অনুপস্থিতিতেই এক দফা মামলার শুনানি কার্যক্রম শেষ করেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ ছাড়া আজ ১৩ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেছিলেন। তবে ৮ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন এ রউফ চৌধুরী, মসিউর রহমান ও অনু জায়গিরদার। ৯ সেপ্টেম্বর জামিন নেন সাঈদ হোসেন চৌধুরী। আদালত আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন নিতে এসে মামলাটি পুনরায় শুরু করার আবেদন করেন তাঁরা। তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনরায় শুরু হবে কি না, সে বিষয়ে আজ আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীসহ একাধিক সূত্র জানায়, ’৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ১৫টি মামলার মধ্যে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলাটিসহ তিনটি মামলা ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য আসে। গত জুনে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। আদালত ৫ জুলাই প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলাটি আমলে নেন এবং অভিযোগ গঠন হয় ৯ জুলাই। ২৬ জুলাই থেকে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে আসামিরা সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। এসব লেনদেনের বড় অংশই ছিল মিথ্যা বা প্রতারণামূলক।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মালিকানা একাধিকবার হাতবদল হয়ে বর্তমানে সেটি ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট নামে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠান।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত চিক টেক্সের মামলার রায় ঘোষণা করেছেন। তাতে চিক টেক্সের অভিযুক্ত দুই পরিচালককে চার বছর করে কারাদণ্ড ও ৩০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া এ আদালতে ওই সময়ের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় চিটাগাং সিমেন্ট ক্লিংকার সংশ্লিষ্ট মামলাটি চলছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে এ সংক্রান্ত ১২টি মামলা।