দমন-নিপীড়ন বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি!

পুলিশি হামলা, নির্যাতন ও দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সরকারের অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানানো হয়। নইলে হরতালসহ কঠিন কর্মসূচি দিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন বিএনপির দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি ও সাংসদ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।
সম্প্রতি ৬০ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচিতে দলীয় নেতাদের গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ আনেন জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামে দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় হামলা চালাচ্ছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা ঘরে থাকতে পারছেন না। জাফরুল ইসলামের অভিযোগ, এই সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অগ্রাহ্য করে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই মেয়াদে সরকার খুন, সন্ত্রাস ও গুমের রাজনীতি দেশে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সন্ত্রাস, খুন ও গুমের রাজনীতি এখনো বন্ধ করেনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াছ আলী, বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ অনেক নেতাকে গুম করা হয়েছে। ভীতিকর কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের সাধারণ মানুষ এই সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যার প্রমাণ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সরকার-সমর্থকদের শোচনীয় পরাজয়। ৬০ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনার নিন্দা জানান জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।
গায়েবানা জানাজা: দেশে ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচিতে নিহত ব্যক্তিদের গায়েবানা জানাজা গতকাল বাদ জুমা চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ওলামা দলের একজন নেতা। গতকাল বাদ জুমা অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন বিএনপির নগর শাখার সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, সিটি মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও চাকুসর সাবেক এজিএস মাহবুবুর রহমান, বিএনপির নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন প্রমুখ।