চাঁদাবাজ ও ঝুট ব্যবসায়ীদের তালিকা পুলিশের হাতে

রাজধানীর চাঁদাবাজ ও ঝুট ব্যবসায়ীদের তালিকা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে দিয়েছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। গতকাল বুধবার ডিএমপির মাসিক অপরাধ সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ইতিমধ্যে ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের উপকমিশনারদের কাছে সংশ্লিষ্ট এলাকার তালিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে তালিকা বুঝিয়ে দেবেন।
গতকাল বেলা ১১টা থেকে চারটা পর্যন্ত চলা ওই সভায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, আটটি অপরাধ বিভাগের উপকমিশনার, ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও রাজধানীর ৪৯টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন। সভায় ডিএমপির যেসব থানার নিজস্ব ভবন নেই, সেসব থানার জন্য জমি দেখতে কর্মকর্তাদের বলেছেন কমিশনার।
সভা সূত্র জানায়, একটি গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া চাঁদাবাজ ও ঝুট ব্যবসায়ীদের ওই প্রতিবেদন নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় থাকা একজন উপকমিশনার জানান, ঈদের নিরাপত্তা সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া হয়। তার মধ্যে ওই তালিকাও ছিল। এর আগে রুগ্ণ পোশাক কারখানার তালিকা দেওয়া হয়েছিল। সেসব কারখানায় ঈদের আগে বেতন নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা রয়েছে বলে নজরদারির মধ্যে রাখতে বলা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ওই চাঁদাবাজ ও ঝুট ব্যবসায়ীদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্থানীয় ছিঁচকে সন্ত্রাসীরাই ঝুট ব্যবসায় জড়ায়। এদের কারণে অনেক সময় পোশাক কারখানাগুলোতে অসন্তোষ দেখা দেয়। এই ঝুট ব্যবসায়ীদের নজরদারিতে রাখতেই ওই তালিকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঈদকেন্দ্রিক চাঁদাবাজেরাও সক্রিয় হয়। তাদের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশও তৎপর থাকবে।
হেল্প ডেস্ক: অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি, টেলিফোনে চাঁদা দাবি, টেলিফোনে হুমকি-হয়রানি, প্রতারণা, নিখোঁজ ব্যক্তির অনুসন্ধান ও প্রবাসী কল্যাণের জন্য হেল্প ডেস্ক চালু করেছে ডিএমপি। সরাসরি ডিএমপি সদর দপ্তরে গিয়ে বা ০১৭১৩৩৯৮৪০০-এ নম্বরে ফোন করে হেল্প ডেস্কের সেবা নিতে পারবেন নগরবাসী।
ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, দুজন যুগ্ম কমিশনার এ হেল্প ডেস্কের দেখভাল করবেন। প্রয়োজনে হেল্প ডেস্ক থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পরে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে।
সিডিএমএসে যুক্ত হচ্ছে ডিএমপি: ২০১০ সাল থেকে পুলিশের কেন্দ্রীয় অপরাধী ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের (সিডিএমএস) কাজ শুরু হলেও ডিএমপি তাতে যুক্ত ছিল না। এখন থেকে ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের আটটি থানার যাবতীয় তথ্য সিডিএমএসে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
উপকমিশনার মনুতাসিরুল বলেন, সিডিএমএসে মামলা ও অপরাধীর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হলে সেই অপরাধীর তথ্য দেশের যেকোনো জায়গায় বসে জানা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বিশেষ করে সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজন মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে কক্সবাজারে কোনো মামলা নেই। কিন্তু সিডিএমএসের মাধ্যমে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের বিরুদ্ধে আগের মামলা রয়েছে।