'প্রশ্ন ফাঁসে' জড়িত সন্দেহে আটক চিকিৎসকসহ সাত

মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ‘প্রশ্ন ফাঁসের’ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রংপুরে তিন চিকিৎসকসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।
আটক হওয়া তিন চিকিৎসক হলেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থো-সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর হাসান (রনি), সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার শরিফুল ইসলাম (অন্তু) ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান (পাভেল)। অন্য চারজন হলেন রংপুরে প্রাইমেট কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর রহমান, এ-ওয়ান কোচিং সেন্টারের কর্মকর্তা জামিল উদ্দিন ও আতিকুর রহমান আদিল এবং এই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সাজরাতুল ইয়াদীন রানা।
আটক ব্যক্তিদের নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে একটি সংবাদ ব্রিফিং করে র‍্যাব। এ সময় র‍্যাব-১৩ কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আশরাফ আলী লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
র‍্যাব-১৩ কার্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার বেলা একটার দিকে নগরের সিটি মার্কেট এলাকায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের দু-তিনজন অভিভাবকের সন্ধান পায় র‍্যাব। ওই অভিভাবকেরা প্রশ্নপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে তাঁদের সন্তানদের মেডিকেল কলেজে ভর্তির চেষ্টা চালিয়েছেন। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে। এসব অভিযানে আটক হন ওই সাতজন।
আটক তিন চিকিৎসকের মধ্যে জিল্লুর হাসানের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার উত্তর সনাকুড়ি, শরিফুল ইসলামের লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরামপুর ও মোস্তাফিজার রহমানের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার কচুবাড়ি কেষ্টবাড়ি এলাকায়। অন্য চারজনের মধ্যে মঞ্জুর হোসেনের বাড়ি রংপুর শহরের বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ের বিপরীতে, আতিকুর রহমানের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার এনায়েতপুর, জামিল উদ্দিনের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মুরারিপুর ও সাজরাতুলের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগদহ কলাবড়ি এলাকায়।
গতকাল রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।