বাস থামালেই টাকা

ভিক্টোরিয়া পার্কের বিপরীতে শাঁখারীবাজার ঢোকার মুখে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ৪ নম্বর রুটের সুপ্রভাত পরিবহনের বাস। সদরঘাট, রামপুরা হয়ে কুড়িলে যায়। একজন লোক এসে হাত বাড়াতেই কন্ডাক্টর কিছু গুঁজে দিলেন।
কী দিলেন?
সরলভাবেই জবাব দিলেন কন্ডাক্টর, ‘১০০ টাকা। এখানে খাঁড়ানোর খরচ।’ পরে ওই বাসের কর্মচারীদের কাছেই জানা গেল, যে লোকটার হাতে টাকা গুঁজে দেওয়া হলো, তাঁর নাম দীপক, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোক। ওই জায়গাটায় যত বাস, মিনিবাস, বা অন্য পরিবহন দাঁড়ায়, চাঁদা দিতে হয়।
লক্ষ্মীবাজার, ইসলামপুরসহ পুরান ঢাকার একটা বড় এলাকা নিয়ে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে যাতায়াতকারী বাসের পাশাপাশি ফুটপাত ও রাস্তাজুড়ে বসা হকারদেরও নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। ভিড়ে ঠাসা এই এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থাও বেশ খারাপ। অথচ নির্বাচনের আগে এসব দূর করার প্রতিশ্রুতি শুনেছিলেন এলাকার ভোটাররা।
বাস থেকে চাঁদাবাজি—জানতে চাইলে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ওই জায়গাটি তাঁর ওয়ার্ডে পড়েনি। আর দীপক নামের কাউকে তিনি চেনেনও না। তবে ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ার বিষয় কাউন্সিলর স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি প্রশাসন দেখবে, আমি কী করতে পারি? আমি কারও কাছ থেকে চাঁদার ভাগ নিয়েছি, এ কথা কেউ বলতে পারবে না।’