ফেনীতে অস্ত্রসহ আটক ২৬ জনের মধ্যে ৯ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

ফেনীতে অস্ত্রসহ র‍্যাবের হাতে আটক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২৬ নেতা-কর্মীর মধ্যে নয়জনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর ১৭ জনকে প্রয়োজনে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে বলে আদালতের আদেশে বলা হয়েছে। 

আজ বুধবার অস্ত্র মামলায় আটক ২৬ আসামির রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. বদিউল আলম এ আদেশ দেন।
গত ৬ জুন রাতে সোনাগাজী থেকে ফেনী ফেরার পথে ফেনী পৌর এলাকার লালপুল এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরে র‍্যাব সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি শর্টগান, পাঁচটি পিস্তল, ১৬টি রামদাসহ ২৬ নেতা-কর্মীকে আটক করেন এবং পরদিন র‍্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের পক্ষে ফেনী সদর মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
যে নয়জন আসামিকে এক দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন, ফুলগাজী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছালেহ আহম্মদ ওরফে মিন্টু মেম্বার, ফুলগাজী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এনামুল করিম ওরফে রাজীব, দরবারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম ওরফে বাচ্চু, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. ফরিদ। মো. আশ্রাফুল ইসলাম ওরফে মাসুম, আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে শুভ, আবু ইউছুপ ওরফে ডলার, মাঈন উদ্দিন ও মো. সরওয়ার হোসেন যুবলীগ কর্মী।
আদালত সূত্র জানায়, আজ বুধবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অস্ত্রসহ আটক ২৬ নেতা-কর্মীকে ফেনী কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
১৩ সেপ্টেম্বর মামলার ধার্য করা তারিখে সিআইডির পরিদর্শক দেওয়ান কৌশিক আহম্মদ ২৬ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মামলার মূল নথি জেলা জজ আদালতে থাকায় ওই দিন আসামিদের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি করা যায়নি। মামলার মূল নথি সংশ্লিষ্ট আদালতে পৌঁছার পর আজ রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৮ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ রয়েছে।
গ্রেপ্তার ২৬ নেতা-কর্মীর সবাই ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।