রায়ের অনুলিপি হাতে পেলে ব্যবস্থা: ইসি

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি (কপি) পাওয়ার পর আদেশ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।

জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গতকাল প্রকাশিত হয়। এর আগে গত ১ আগস্ট হাইকোর্ট এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত রায় দেন।

ইতিমধ্যে জামায়াত নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।

জানতে চাইলে কমিশনার আবু হাফিজ বলেন, হাইকোর্টের রায় হাতে না আসা পর্যন্ত কমিশনের পক্ষে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এখন যেহেতু রায় প্রকাশিত হয়েছে, ধরে নেওয়া যায়, অচিরেই তা হাতে পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

আপিল করলে তার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রায় বাস্তবায়ন করা যাবে না—জামায়াতের এই দাবি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলে যখন রায় দিয়েছেন, তখন থেকেই তা কার্যকর।

কিন্তু এ বিষয়ে কমিশন থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

সংক্ষিপ্ত রায়ের পরই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত দলের তালিকা থেকে জামায়াতে ইসলামীর নাম বাদ দেওয়া হয়।

জামায়াত ২০০৮ সালে ছায়া গঠনতন্ত্র জমা দিয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিবন্ধন পায় এবং ওই বছরই নির্বাচনে অংশ নেয়। কথা ছিল, নির্বাচনের পর দলীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) আলোকে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে তা কমিশনে জমা দেবে। এরপর তারা একাধিকবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করলেও তাতে সংবিধান ও আরপিওর পরিপন্থী কিছু ধারা থেকে যায়। এ বিষয়ে কমিশন থেকে তাদের কয়েকবার তাগিদ দিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়।