ছাত্রী অপহরণের চেষ্টা, একজনের কারাদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর করে অপহরণের চেষ্টার দায়ে নূর ইসলাম (৩০) নামের একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করার পর বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ এমরান হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এই রায় দেন।

নূর ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর লোকজন ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালায়। এতে পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কয়েক মাস ধরে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মুন্সিহাটি পাড়ার নূর ইসলাম ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। ছাত্রীকে প্রকাশ্যে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে আসছিলেন। বিয়েতে রাজি না হলে অ্যাসিড ছুড়ে মুখ ঝলসে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।

সূত্র জানায়, নূর ইসলাম এর মধ্যে তিনটি বিয়েও করেছেন।
আজ সকালে ছাত্রীটি স্কুলে যাওয়ার সময় নূর ইসলাম তাকে তাঁর সঙ্গে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় তিনি তার মাথা ও মুখে চড় থাপ্পড় মারতে থাকেন। এতে ছাত্রীটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় নূর ইসলাম তাকে অপহরণের চেষ্টা করেন। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তিনি পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় নূর ইসলাম ছাত্রীটিকে অ্যাসিড নিক্ষেপেরও হুমকি দেন।
দুপুরে ওই ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত হয়ে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করে। বিকেল চারটার দিকে সরাইল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রনি সুরে রানা অভিযান চালিয়ে নূর ইসলামকে আটক করেন। নূর ইসলামকে আটকের পরপর তাঁর বাবা দ্বীন ইসলামের নেতৃত্বে ১৪ থেকে ১৫ জন ওই ছাত্রীর বাড়িতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে এএসআই রনি সুরে রানা, পুলিশ সদস্য অলিউল্লাহ, আবদুল করিম, ওই ছাত্রীর চাচা ও মামাতো ভাই আহত হন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সরাইল থানার ওসি মো. আলী আরশাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, নূর ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।