কলেজছাত্রকে পুলিশের সামনে থেকে অপহরণ!

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনার এলাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে ফাহিম শাহরিয়ার খান নামের এক কলেজছাত্রকে টেনেহিঁচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। দুই ঘণ্টা পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

 ফাহিমকে অপহরণের সময় সেখানে পুলিশ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) গতকালই প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ফাহিমের (১৮) বাসা শহরের জামতলা এলাকায়। তিনি শহরের নারায়ণগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম আলোকে বলেন, ১২ থেকে ১৫ জন যুবক হঠাৎ করে ফাহিমকে ঘিরে ধরে। পরে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশে বালুর মাঠের দিকে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আবার তাঁকে শহীদ মিনার এলাকায় আনা হয়। পরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীরের নেতৃত্বে আর্মড পুলিশের একদল সদস্য শহীদ মিনার এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু কেউ ফাহিমকে উদ্ধারের চেষ্টা করেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক কলেজছাত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার জেরে ফাহিমকে তুলে নেওয়া হয়। মারধর করে প্রায় দুই ঘণ্টা পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, পুলিশি তৎপরতার মুখে প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফাহিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফাহিম তাঁকে মুঠোফোনে এই তথ্য জানিয়েছেন।

এসআই আলমগীরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আলমগীরের সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত শহীদ মিনার এলাকায় দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।