ঝরনার পাড়ে যেতে নিষেধাজ্ঞা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের পেছনে এই ঝরনায় যেতে আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত সোমবার এই ঝরনার পানিতে ডুবে দুই শিক্ষার্থী মারা যান l ছবি: প্রথম আলো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের পেছনে এই ঝরনায় যেতে আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত সোমবার এই ঝরনার পানিতে ডুবে দুই শিক্ষার্থী মারা যান l ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের পেছনে দুর্গম পাহাড়ের ঝরনায় যেতে আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী তা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত সোমবার ঝরনার পানিতে ডুবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান ও নাইমুল হাসান মারা যান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবারও ঝরনার পাড়ে না যেতে সতর্কতা জারি করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, পাহাড়ি ঝরনায় বেড়াতে এসে এর আগেও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। অনেকে মারা গেছে। ঝরনাটি বিপজ্জনক হওয়ায় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞাসহ সতর্কতাসংকেত দেওয়া আছে। এ ছাড়াও দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীদের বিষয়টি অবহিত করলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকে সেখানে যাচ্ছেন এবং দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ঝরনার পাড়ে না যাওয়ার জন্য পুনরায় কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল ক্যাম্পাসে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে শোক সভা হয়।

সকাল ১০টায় বিভাগের একটি কক্ষে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক উপাচার্য মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ। বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন জাহাঙ্গীর আলম ও ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের সভাপতি সুলতান আহমেদ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দুই শিক্ষার্থীর অকালমৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি ঝরনাসহ বিভিন্ন বিপজ্জনক জলাশয়ের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ করেছে।