শিশু হত্যা, মা ও সৎ বাবা রিমাণ্ডে

যশোরে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে শিশুটির মা ও সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ তাঁদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করার পর আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

পুলিশ বলেছে, সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড় বেলতলা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার দুই বছরের শিশু সুরাইয়া আক্তারকে হত্যা করা হয়। আজ বুধবার পুলিশ সুরাইয়ার মা আছিয়া ও সুরাইয়ার সৎ বাবা (আছিয়ার স্বামী) শাওন ওরফে সোহানকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত আগামীকাল শুনানির দিন ধার্য করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গতকাল বিকেলে শিশুটিকে তার মা আছিয়া ও সৎ পিতা শাওন ওরফে সোহান মিলে বালিশ চাপা দিয়ে ধরে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে বসুন্দিয়া মোড়ে স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। পরে তাকে যশোর শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুর মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে আছিয়া ও শাওনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যায় তাঁদের আটক করে।

পুলিশ ও বসুন্দিয়া মোড়ের লোকজন বলেন, কুষ্টিয়ার সবুজ নামে এক যুবকের সঙ্গে কয়েক বছর আগে আছিয়ার বিয়ে হয়। সেখানে সুরাইয়ার জন্ম হয়। এ সময় যশোর সদর উপজেলার কেফায়েত গ্রামের শাওনের সঙ্গে আছিয়ার সম্পর্ক হয়। তখন আছিয়া সবুজকে তালাক দিয়ে শাওনকে বিয়ে করেন। আছিয়ার কোলে সন্তান থাকায় শাওনের পরিবারের লোকজন আছিয়াকে মেনে নিচ্ছিল না। তখন শাওন শিশু সুরাইয়াকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দেওয়ার জন্য আছিয়াকে চাপ দিতে থাকেন। এ কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাছ আলী প্রথম আলোকে বলেন, মৃত্যুর পর শিশুর হাত মুষ্টিবদ্ধ ছিল ও মলদ্বারে মল ছিল। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, বালিশ জাতীয় কিছু চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।