'আমরা বিদ্যুৎ চাই, তবে সুন্দরবন ধ্বংস করে নয়'

‘রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলে সুন্দরবন ও বনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। ঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়বে জনবসতি। আমরা বিদ্যুৎ চাই, তবে সুন্দরবন ধ্বংস করে নয়।’
‘সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রায়’ অংশ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাসদ আয়োজিত সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা দল গতকাল বিকেলে যশোর শহরে পৌঁছায়। পরে সিপিবি ও বাসদ জেলা শাখার উদ্যোগে সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে শহরের চিত্রা মোড়ে সমাবেশ হয়।
সিপিবির যশোর জেলা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ। সমাবেশ থেকে জানানো হয়, আজ শুক্রবার খুলনা ও বাগেরহাটে একই দাবিতে সমাবেশ করা হবে।
ফরিদপুর অফিস জানায়, এর আগে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ‘সুন্দরবনবিধ্বংসী’ সব প্রকল্প বাতিল ও লুটেরাদের কবল থেকে সুন্দরবন রক্ষা করার দাবিতে সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা কর্মসূচির পথসমাবেশ হয় ফরিদপুরের মধুখালীতে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসংলগ্ন মধুখালীর আখ চাষি কল্যাণ ভবনের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বক্তব্য দেন মনজুরুল আহসান খান ও খালেকুজ্জমান ভূঁইয়া। মনজুরুল আহসান খান বলেন, সরকার সুন্দরবনের মাত্র ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা আত্মঘাতী। সরকারকে অবশ্যই এ সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে আসতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হলে সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।
খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করে অতীতে অনেক হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসতে বাধ্য করেছি। এবারও সরকারকে সুন্দরবন রক্ষার স্বার্থে এই হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত হতে বাধ্য করব।’
উপজেলা সিপিবির সভাপতি আবদুল মালেক সিকদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য মনোজ সাহা, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বক্তব্য দেন।
১৩ অক্টোবর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা শুরু হয়।