যুক্তরাষ্ট্রে আটক ৮২ বাংলাদেশিকে আইনি সহায়তার উদ্যোগ

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অভিযোগে টেক্সাসে আটক বাংলাদেশিরা। সেখানকার একটি ডিটেনশন সেন্টারে অনশন করছেন তাঁরা l ছবি: সংগৃহীত
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অভিযোগে টেক্সাসে আটক বাংলাদেশিরা। সেখানকার একটি ডিটেনশন সেন্টারে অনশন করছেন তাঁরা l ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে অনশনরত ৮২ জন বাংলাদেশিকে আইনি সহায়তার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) মো. শামসুল আলম চৌধুরী এ কথা জানিয়েছেন।
প্রায় ছয় মাস আগে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অপরাধে টেক্সাসের সীমান্ত পুলিশ ওই বাংলাদেশিদের আটক করে। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন গৃহীত না হওয়ায় এখন তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) শামসুল আলম অনশনরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তাঁদের আইনগত অবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে সম্ভাব্য সবকিছু করার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁরা আমাদের দেশের নাগরিক, তাঁদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের দিক বিবেচনায় রাখা আমাদের দায়িত্ব।’
জানা গেছে, ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী এসব বাংলাদেশি নাগরিক মানব পাচারকারী দালালদের মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশ অতিক্রম করে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় আটক হওয়ার পর দুজনকে টেক্সাসের বাইরে অন্যত্র পাঠানো হয়। এখন এল পাসোর ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকা বাংলাদেশির সংখ্যা ৮২।
আটক বাংলাদেশিদের আইনি সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রেন্ডস অব ডিটেইনিস। এই সংস্থার সদস্য ফ্লোরিডার আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ৪৫ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। ভ্রমণসংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি হয়ে গেলেই তাঁদের বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে। তবে এ নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
আতিকুর রহমান জানান, আটক ওই বাংলাদেশিরা নিজেদের বিএনপির সমর্থক দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তাঁদের অধিকাংশের কাছেই কোনো আইনসম্মত পরিচয়পত্র নেই। বিচারক তাঁদের আবেদন আমলে নেননি।
বাংলাদেশ দূতাবাসের শামসুল আলম চৌধুরী শনিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আটককৃত বাংলাদেশিরা যে অবস্থায় রয়েছেন, তা অচিন্তনীয়। অধিকাংশই ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না। তাঁদের পক্ষে আইনত যা করা সম্ভব বাংলাদেশ দূতাবাস তা করবে। এ জন্য তিনি খুব শিগগির আবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন।