সাটুরিয়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের পর হত্যা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামিরা। জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনা দেন তাঁরা। এদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার সাভার থেকে শাহিনুর ইসলাম নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার বরাইদ গ্রামের আবাসনের একটি ঘরে দিনমজুর সাহেদ আলী স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। গত শনিবার বিকেলে ওই আবাসন থেকে তাদের বড় মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সীমা আক্তার (১১) নিখোঁজ হয়।
খোঁজাখুঁজির পর ওই আবাসনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে সীমার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্বজনেরা। এর পর গত রোববার তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সীমার স্বজনদের অভিযোগ, সীমাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা মামলা করলে গত রোববার সন্ধ্যায় হাসান মিয়া ও আবদুল বারেককে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে মানিকগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনা করেন তাঁরা। এতে তাঁরা বলেন, বাড়িতে বাবা-মা না থাকায় শিশুটিকে একা পেয়ে তারাসহ (দুই আসামি) ছয়জন ধর্ষণ করেন। এর পর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গলায় ফাঁস দিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে পালিয়ে যান।