ভোটবিহীন সাংসদের পকেটে অস্ত্র থাকে: হাফিজ

ভোট ছাড়া নির্বাচিত সাংসদের পকেটে অস্ত্র ও মদের বোতল থাকে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

আজ সোমবার ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এই বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার এতদিন বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে, এখন বিদেশিদেরও হত্যা করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে।
দেশে আইনশৃঙ্খলা ঘোরতর অবনতি হয়েছে মন্তব্য করে সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘ভোট ছাড়া নির্বাচিত সাংসদের পকেটে অস্ত্র ও মদের বোতল থাকে, তাঁরা মদ খেয়ে, নাশতা করে এবং অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে যাকে সামনে পায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। পেটের শিশুরাও বাদ পড়ছে না। কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই।’
দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কোনো কিছু হলে বলে, এটা জঙ্গিরা করেছে। খালেদা জিয়া জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক। এবার বিদেশিদের হত্যার পরে সরকার বলছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। তাহলে কেনো এতদিন মিথ্যাচার করলেন কেনো? বিএনপির মতো জনপ্রিয় দলকে জঙ্গি আখ্যা দিলেন কেনো!’
পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে হাফিজ উদ্দিন বলেন, আগামী বছর পৌর নির্বাচন হবে। খালেদা জিয়া দেশে ফিরে এলে ২০ দলের জরুরি বৈঠক করবেন। তখন সিদ্ধান্ত হবে এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনে যাবে কি না। তবে বিএনপি কোনো অন্যায়কে বিনা চ্যালেঞ্জে মেনে নেবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এই ভোটবিহীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের ক্যাডার তাঁর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে অস্ত্রবিদ্যা শিখাচ্ছে। মূল্যবোধের এত অবক্ষয় হয়েছে যে, ছাত্র-শিক্ষক এক কাতারে অবৈধ অস্ত্রধারী। সাধারণ মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমনি নিষ্ঠুর সরকার যে, জেলখানায় কাউকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয়া হয় না।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া প্রমুখ।