হামলার জন্য খালেদা-তারেককে দুষলেন শামসুদ্দিনের মেয়ে

.
.

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানের নির্দেশেই লন্ডনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর ওপর হামলা হয়েছে। শামসুদ্দিন চৌধুরীর মেয়ে নাদিয়া চৌধুরী গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন।
গত বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকায় ইয়োর্ক হলে অতর্কিত হামলার শিকার হন শামসুদ্দিন চৌধুরী। ওই ঘটনার পর টিভি চ্যানেল টিবিএন ২৪ ইউরোপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামসুদ্দিন চৌধুরী হামলার জন্য বিএনপি-জামায়াত চক্রকে দায়ী করেন। ২০১১ সালে কর্নেল তাহের হত্যার রায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করার কারণে তাঁর ওপর এমন হামলার ঘটনা ঘটছে বলে তিনি দাবি করেন।
এর পর গতকালের সংবাদ সম্মেলনে শামসুদ্দিন চৌধুরীর মেয়ে আইনজীবী নাদিয়া চৌধুরী হামলার জন্য সরাসরি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দায়ী করলেন।
হামলার বর্ণনা দিয়ে নাদিয়া বলেন, গত বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁর বাবা বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে আসেন। যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি গাড়িতে করে তিনি বাবাকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় হাইকমিশনের একজন প্রটোকল কর্মকর্তাও সঙ্গে ছিলেন। বাসায় ফেরার পথে মুঠোফোনে সাবেক এক ছাত্রের আমন্ত্রণ পেয়ে শামসুদ্দিন চৌধুরী বেথনাল গ্রিনের দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে যান। সেখানে তাঁরা কিছুক্ষণ কাটান। বাসায় ফেরার জন্য গাড়ির কাছাকাছি গেলে একজন লোক শামসুদ্দিন চৌধুরীর পরিচয় জানতে চান। পরে হামলা শুরু করেন। কয়েকজন মিলে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। হামলাকারীরা শামসুদ্দিন চৌধুরীর মুঠোফোন নিয়ে যান। সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।

এক প্রশ্নের জবাবে নাদিয়া বলেন, বাবা মাথায় ও হাতে আঘাত পান। তবে হাসপাতালে নেওয়ার মতো গুরুতর আঘাত নয়। পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাটি বাবার জন্য নিরাপদ মনে করছেন না বলে তিনি জানান। এ কারণে সংবাদ সম্মেলনে বাবাকে আসতে দেননি। যুক্তরাজ্য আইনজীবী পরিষদ ও আওয়ামী লীগের নেতারা লন্ডনে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট সাহায্য করছে বলেও জানান নাদিয়া। তিনি এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নানা অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কোনো হামলায় তিনি ও তাঁর বাবা ভয় পান না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হননি।