২৫টি সুতি জাল ও ছয়টি বানার বেড়া উচ্ছেদ

নাটোরে চলনবিলের ইটালি এলাকায় জেলা প্রশাসন বিশেষ অভিযান চালিয়ে গতকাল বিকেলে সুতি জালের একটি ঘের ও বানার বেড়া উচ্ছেদ করে l প্রথম আলো
নাটোরে চলনবিলের ইটালি এলাকায় জেলা প্রশাসন বিশেষ অভিযান চালিয়ে গতকাল বিকেলে সুতি জালের একটি ঘের ও বানার বেড়া উচ্ছেদ করে l প্রথম আলো

নাটোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল বুধবার সদর ও সিংড়া উপজেলার চলনবিলসহ দুটি বিল ও দুটি নদীতে একযোগে অভিযান চালিয়ে ২৫টি সুতি জাল ও আটটি বানার বেড়া উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনজন নির্বাহী হাকিমসহ র্যা ব ও পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য দিনভর এই অভিযান পরিচালনা করেন। চলনবিল ও আশপাশের নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকার বন্ধ করতে এই অভিযান চালানো হয়।
নাটোর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চলনবিল ও আশপাশের নদীতে অবৈধ সুতি জাল ও বানার বেড়া দিয়ে মাছসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী শিকার করে আসছেন। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালানোর দাবি ওঠে। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন গতকাল সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত নাটোর সদর, সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিল ও নদীতে বিশেষ অভিযান চালায়। জেলা প্রশাসক মশিউর রহমানের তত্ত্বাবধানে তিনজন নির্বাহী হাকিম, র্যা বের ১৬ জন ও পুলিশের ৩২ জন সদস্যসহ শতাধিক শ্রমিক অভিযানে অংশ নেন।
নির্বাহী হাকিম নবিরুল ইসলাম হালতি বিলের ত্রিমোহনী এলাকার তেলিগ্রাম ও গোবিন্দনগর থেকে সাতটি সুতি জালসহ বাঁশের বেড়া উচ্ছেদ করেন। নির্বাহী হাকিম জাহাঙ্গীর আলম চলনবিলের ডাহিয়া এলাকা থেকে ১২টি সুতি জাল জব্দ করেন ও ছয়টি বানার বেড়া উচ্ছেদ করেন। এ ছাড়া নির্বাহী হাকিম মুরাদুল ইসলাম আত্রাই নদীর কালীগঞ্জ এলাকা থেকে ছয়টি সুতি জাল উদ্ধার ও বাঁশের বেড়া উচ্ছেদ করেন। সন্ধ্যায় এসব জাল ও উচ্ছেদ করা বাঁশের বেড়া আগুনে পোড়ানো হয়।