ডিএডি তৌহিদের মায়ের দাবি তাঁর ছেলে নির্দোষ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদের মা ছেলেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
ওই হত্যা মামলার রায়ে গতকাল মঙ্গলবার আদালত তৌহিদসহ ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ দেন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের নামে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম (তৌহিদ) তার নেতৃত্ব দেন। ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান।
মৃত্যুদণ্ডাদেশের খবর পেয়ে তৌহিদের ৮২ বছর বয়সী মা হাজেরা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। রায় ঘোষণার পর গতকাল দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রায়াপুর গ্রামে তৌহিদের গ্রামের বাড়ি গিয়ে এ কান্নার দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় তিনি তৌহিদকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তাঁর ছেলেকে ষড়যন্ত্র করে আসামি করা হয়েছে।
হাজেরা আরও বলেন, ‘তার সঙ্গে আমি জেলখানায় গিয়ে দেখা করে কথা বলেছি। সে বারবার এক কথাই বলছে “মা আমি কোনো অন্যায় করিনি, আমার জন্য দোয়া করবেন।”’
তৌহিদের বড় ভাই সৈয়দ শামসুল আলম বলেন, ‘আমার ভাই নির্দোষ। ষড়যন্ত্র করে তাকে বিদ্রোহের ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
বিদ্রোহের পর গ্রেপ্তার হলে বেশ কয়েকবার জেলখানায় তৌহিদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর মা। তৌহিদের বাবা সৈয়দ ইয়াকুব আলীর মৃত্যুর পর মায়ের থাকার জন্য একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে দিয়েছিলেন তিনি। ১০ ভাইবোনের মধ্যে তৌহিদ তৃতীয়। তৌহিদের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। তাঁরা ঢাকায় থাকেন।
রায়াপুর গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান বলেন, তৌহিদ রায়াপুর স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করে বরিশালের লাকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭২ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বিডিআরে যোগ দেন। সৈনিক পদ থেকে পর্যায়ক্রমে তিনি ডিএডি হিসেবে পদোন্নতি পান।