উপজেলা চেয়ারম্যান বরখাস্ত

নিয়মবহির্ভূত অর্থ-ব্যয় ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. সবুর হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়। গত সোমবার বিকেলে এক ফ্যাক্স বার্তায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ওই প্রজ্ঞাপন পাঠানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, উপজেলা পরিষদের সাংগঠনিক কাঠামোতে স্পিডবোটের সংস্থান না থাকা সত্ত্বেও এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ না করে ছয় লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি স্পিডবোট কেনেন উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান। বিধিবহির্ভূতভাবে পরিষদের স্বার্থহানিকর ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, পদ্মা নদীবেষ্টিত উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে মাঝেমধ্যে চুরি-ডাকাতি ও নৌ-ডাকাতি হয়।উপজেলাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদে এক সভা ডাকা হয়। ওই সভায় তিনি ছাড়াও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। সভায় হারুকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে সাত সদস্যবিশিষ্ট ক্রয় কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্পিডবোট কেনা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্পিডবোটটি হরিরামপুর থানার পুলিশ ব্যবহার করে।
স্পিডবোট ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, চুরি-ডাকাতি ও নৌ-ডাকাতি ঠেকাতে স্পিডবোটটি ব্যবহার করা হয়। এটি উপজেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানেই রয়েছে।
তৎকালীন ইউএনও মো. মামুন মিয়া বলেন, ওই সভায় তিনি নিয়মানুযায়ী স্পিডবোট কেনার পরামর্শ দেন।
বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ করিম বলেন, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ ও উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১-এর ১৩ খ(১)-এর ধারা মোতাবেক সাইদুরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।