দলীয় সভায় মার খেলেন আ. লীগ নেতা

সাভারের সাংসদ এনামুর রহমানের বাড়িতে দলীয় সভায় নেতা-কর্মীদের হাতে মার খেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার। আজ সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।


উপজেলা আওয়ামী লীগের এ সভাটি আহ্বানের বৈধতা নিয়ে কিছু সময় ধরে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। স্থানীয় সাংসদ ও আলী হায়দার ছাড়াও ওই সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনাদৌলা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, বাংলাদেশ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুখ হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা পারভেজ দেওয়ানসহ উপজেলার সব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন। ২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে লোক সমাগম নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা ছিল এটি।


সভা চলাকালে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম তাঁর বক্তব্যে এ সভা আহ্বানের বৈধতার প্রশ্ন তুললে উপস্থিত নেতাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে কিছু বহিরাগতসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে মারধর করেন। এতে তিনি আহত হন।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলী হায়দার বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে তাঁর ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।’


হাসিনাদৌলা বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী সভাপতির অনুমতি নিয়ে সভা আহ্বান করার কথা। কিন্তু আমার অনুমতি ছাড়াই এ সভা আহ্বান করা হয়েছিল। এরপরেও সাংসদের অনুরোধে আমি ওই সভায় উপস্থিত ছিলাম।’


সাংসদ এনামুর রহমান বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী সভা আহ্বান না করায় কিছুটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে কিছু চেয়ার ছুড়ে মারে। তবে আলী হায়দারের ওপর কোনো হামলা হয়নি।’


মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির অনুমতি নিয়ে সভা আহ্বান করার নিয়ম। আমার বক্তব্যে আমি জানতে চেয়েছিলাম, এ সভাটি আনুষ্ঠানিক নাকি অনানুষ্ঠানিক? যদি আনুষ্ঠানিক হয়ে থাকে, তাহলে এ সভা আহ্বান নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। অনানুষ্ঠানিক হলে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। এরপরই সভাস্থলে উত্তেজনা দেখা দিলে কিছু চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। কোনো নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনাটিকে পরিকল্পিত বলেও প্রতীয়মান হয়নি।’

আলী হায়দারের দাবি, তাঁর ওপর হামলার পরেই সভা পণ্ড হয়ে যায়।