সেতু ভাঙা ১৬ দিন দুর্ভোগে মানুষ

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বীণাপাণি বাজার খালের ওপর নির্মিত লোহার সেতুটি গত ২৬ অক্টোবর থেকে ভেঙে আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে তিন গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। সংগৃহীত ছবিটি সম্প্রতি তোলা
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বীণাপাণি বাজার খালের ওপর নির্মিত লোহার সেতুটি গত ২৬ অক্টোবর থেকে ভেঙে আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে তিন গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। সংগৃহীত ছবিটি সম্প্রতি তোলা

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার দারুলহুদা-ধাওয়া সড়কের বীণাপাণি বাজার খালের ওপর নির্মিত লোহার সেতুটি ১৬ দিন আগে ভেঙে গেছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তিন গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ভেঙে যাওয়া অংশে সুপারিগাছ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে তারা।
ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফিরোজ হোসেন মুন্সী বলেন, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ২৯ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২৬ অক্টোবর রাতে হঠাৎ সেতুটি মাঝ বরাবর ভেঙে যায়। এরপর ওই ভাঙা অংশের ওপর সাঁকো তৈরি করে উপজেলার পশারিবুনিয়া, দারুলহুদা ও হেতালিয়া গ্রামের ১০ হাজারের বেশি মানুষ চলাচল করছে। সেতু ভেঙে যাওয়ায় দারুলহুদা-ধাওয়া সড়কে মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বীণাপাণি বাজার খালের সেতুর পূর্ব প্রান্তে পশারিবুনিয়া এন এম কারিগরি দাখিল মাদ্রাসা, পশারিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশারিবুনিয়া কাদেরিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ধাওয়া বাজার ও কমিনিউটি ক্লিনিক রয়েছে। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে বীণাপাণি বাজার, পশারিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দারুলহুদা ইসলামিয়া আল গাজ্জালি কামিল মাদ্রাসা, দারুলহুদা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর পূর্ব প্রান্তের লোহার একটি পিলার ভেঙে খালের মধ্যে সেতুর একাংশ ভেঙে পড়েছে। সেতুটি ভেঙে পড়ায় সুপারিগাছ ও বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ।
পশারিবুনিয়া গ্রামের হুরেন নেছা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে শিশু শ্রেণিতে পড়ে। সে ওই সেতু পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেত। সেতু ভেঙে যাওয়ায় সাঁকো পারাপার করার সময় সে ভয় পায়।’
হেতালিয়া গ্রামের ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলচালক কামাল হোসেন বলেন, সেতু ভেঙে পড়ায় দারুলহুদা-ধাওয়া সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে সাঁকো তৈরি করে দিয়েছি।’
এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম চৌধুরী বলেন, ভেঙে যাওয়া সেতুর জায়গায় গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে।