তাড়াশ ডিগ্রি কলেজকে সরকারি করার দাবি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা সদরে অবস্থিত ৪৪ বছরের পুরোনো ডিগ্রি কলেজ বাদ দিয়ে গ্রামের এমপিওভুক্ত নয় এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের নামের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
একই সঙ্গে তাঁরা তাড়াশ ডিগ্রি কলেজকে সরকারি করার দাবি এবং পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন মনসুরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। গতকাল শনিবার তাড়াশ ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মীর হোসনেয়ারা ডেইজি।
লিখিত বক্তব্যে হোসনেয়ারা ডেইজি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের উপজেলা সদরে অবস্থিত পুরোনো ও সর্বোচ্চ ভালো মানের প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু তাড়াশ সদরের ডিগ্রি কলেজকে বাদ দিয়ে বিনোদপুর গ্রামের একটি নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে সরকারীকরণের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের নতুন এই কলেজকে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নাম ভাঙিয়ে ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা আইডিয়াল’ নামে পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর ও বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারি করার নামে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে বাণিজ্য করছেন। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত তাড়াশ ডিগ্রি কলেজে বর্তমানে পাঁচটি অনার্স বিষয়সহ ডিগ্রি ও উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। কলেজটির ১১ একর জমি ও ক্যাম্পাসে ৩টি তিনতলা ভবনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো রয়েছে। কলেজের নিজস্ব জমিতে স্থানীয় সাংসদ গাজী ম ম আমজাদ হোসেনের নামে একটি হোস্টেলের ভিত্তি স্থাপন, একটি খেলার মাঠ ও পুকুর তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা সদরের এই প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে হোসেন মনসুর গোপনে বিনোদপুর গ্রামের নামমাত্র শিক্ষার্থীদের কলেজকে জাতীয়করণের পাঁয়তারা করছেন। একই সঙ্গে এই অনিয়মতান্ত্রিক কাজ করায় হোসেন মনসুরকে তাড়াশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
এ বিষয়ে বারুহাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বলেন, নিয়মানুযায়ী কলেজটি জাতীয়করণের জন্য কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হোসেন মনসুর যাবতীয় কাগজপত্র শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিল করেছেন। এখানে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।