কানাডা থেকে শূন্য হাতে ফিরল দুদকের তদন্ত দল

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলার তদন্তে কানাডায় গিয়ে শূন্য হাতে ফিরে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই সদস্যের দল। পদ্মা সেতু দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা মির্জা জাহিদুল আলম ও দুদকের আইন উপদেষ্টা আনিসুল হক গত ১৮ মে কানাডায় যান। টানা দুই সপ্তাহ ওই দেশে থাকার পর দেশে ফিরেছেন তাঁরা। গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, এ মামলার বিদেশি আসামি এসএনসি-লাভালিনের আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহর আলোচিত ডায়েরি বা ডায়েরিটির সেই পাতা জোগাড় করতে পারেননি তাঁরা। এমনকি রমেশ শাহসহ মামলার অপর দুই আসামি এসএনসি-লাভালিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস ও সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইলের সঙ্গে কথা বলতেও ব্যর্থ হয়েছে দুদকের তদন্ত দল। আনিসুল হক বলেন, রমেশের ডায়েরি এখন কানাডার আদালতের সম্পত্তি। আদালতের কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তবে কানাডা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তথ্য পাওয়ার বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। তাহলে কি কানাডা সফরে দুদকের কোনো অর্জন নেই—এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘এটা আপনারা বিশ্লেষণ করে দেখুন। তবে আমরা সেখানে গিয়ে তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ভবিষ্যতে আইনি প্রক্রিয়ায় তথ্য পাওয়া যেতে পারে।’ আবারও কানাডা সফর করবেন কি—জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘সম্ভবত’। দুদকের আইনজীবী উপদেষ্টা কানাডার ‘ব্যর্থ সফরের’ গল্প শোনালেও দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, তিনি সন্তুষ্ট। আনিসুল হকের বক্তব্যের পর সাংবাদিকেরা গোলাম রহমানের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, ‘তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। আমি সন্তুষ্ট।’ কী অগ্রগতি হলো—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা তো এখন বলা যাবে না।’

পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুদক গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর সাতজনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করে।