পৌরসভা সংশোধন বিল পাস, মেয়ররা দলীয় প্রার্থী

পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে হলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন লাগবে অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। এই বিধান রেখে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) বিল ২০১৫ পাস হয়েছে। 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলের ওপর দেওয়া বিরোধী দলের একাধিক সদস্যের সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানো প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।
বিলটি পাস হওয়ায় নির্বাচনের উপযোগী আড়াই শর মতো পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনি কোনো সমস্যা থাকল না। এসব পৌরসভা নির্বাচনের জন্য আগামী সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে।
বিলটির ওপর দেওয়া সংশোধনী প্রস্তাবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও টিপু সুলতান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী আলী ফরাজী মেয়র পদে দল মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে কাউন্সিলর পদেও একই ধরনের ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করেন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, রাজনীতি বিহীন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এ দেশে বিকশিত হয়নি। মেয়র ও কাউন্সিলরদের আলাদা করাটা রাজনীতির দুর্বলতা। সে জন্য কাউন্সিলরদের পদেও দলীয় নির্বাচন করার প্রস্তাব করছি।
রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, সংসদকে এড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করা কখনো ভালো হয় না। সংসদ ডাকার পর অধ্যাদেশ কেন জারি করা হলো? তিনি প্যানেল মেয়রের জটিলতা এড়ানোর জন্য ভাইস চেয়ারম্যানের পদ সৃষ্টি এবং মনোনয়নের ক্ষেত্রে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনিবন্ধিত দলের পক্ষ থেকেও প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেন।
জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, এই বিলটি পাস হলে মাথা থেকে দেহ আলাদা হয়ে যাবে। মেয়র দলীয়ভাবে নির্বাচিত হবেন। অথচ কাউন্সিলর নির্দলীয় হবেন। পৌরসভায় কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে প্যানেল মেয়র হয়ে থাকেন। এখন কাউন্সিলর নির্দলীয় হলে প্যানেল মেয়র কে হবেন?
জবাবে মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, কাউন্সিলর পদে দলীয়ভাবে নির্বাচনের বিষয়টি পরে বিবেচনা করা হবে। আপাতত শুধু মেয়ররাই দলীয়ভাবে নির্বাচন করবে। পরে ভুলত্রুটি বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনে সংশোধনী আনা হবে।
বেসরকারি বিল
বাংলাদেশে বিদেশিদের আসা-যাওয়ার তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিদেশি নিবন্ধন বিল ২০১৫ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাংসদ ইসরাফিল আলম বিলটি উত্থাপন করেন। উত্থাপনের পর বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ও বিল সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।