বিদ্যুৎ চুরির দায়ে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা

মিটার টেম্পারিং করে পৌনে ১০ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ চুরির দায়ে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি কারখানাকে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) স্পেশাল টাস্কফোর্স। এ ছাড়া ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার স্পেশাল টাস্কফোর্স প্রধান মুনীর চৌধুরী বিদ্যুৎ আইনে এই জরিমানা করেন। ডিপিডিসি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিদ্যুৎ চুরিতে সহযোগিতার দায়ে ডিপিডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে টাস্কফোর্স। যেসব কারখানাকে জরিমানা করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে অন্তু ডায়িং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রিপন প্রধানকে ২৭ লাখ টাকা, ফপটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড, ফপটেক্স ডায়িং লিমিটেড ও ফপটেক্স নিটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার মোর্শেদকে এক কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং ফ্রেন্ডস ডায়িং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল হোসেনকে ৭৮ লাখ টাকা।

ডিপিডিসির স্পেশাল টাস্কফোর্সের প্রধান মুনীর চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে ছয় ঘণ্টা ডিপিডিসির স্পেশাল টাস্কফোর্স নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম হাজীগঞ্জ, ফতুল্লা ও পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে অভিযান চালিয়ে ফ্রেন্ডস ডায়িং লিমিটেড, অন্তু ডাইং লিমিটেড, ফপটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড এবং ফপটেক্স নিটিং লিমিটেড ও ফপটেক্স ডাইং লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায়। ওই পাঁচটি কারখানায় ডিপিডিসি কর্তৃক স্থাপিত বৈদ্যুতিক মিটারের সিল বেআইনিভাবে খুলে কৌশলে মিটারের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বন্ধ রেখে মাসের পর মাস কারখানা চালানো হয়েছে। এভাবে ডিপিডিসি বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

মুনীর চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ আইনে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ চুরিতে সহায়তার অভিযোগে উপসহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।