দলীয় কর্মীদের হামলায় যুবলীগের দুজন গুলিবিদ্ধ

নাটোর শহরের মল্লিকহাটি এলাকায় আজ শুক্রবার দুপুরে সম্ভাব্য এক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও যুবলীগ নেতাসহ দুজন দলীয় কর্মীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন পৌর যুবলীগের সদস্য রেদওয়ান সাব্বির (২৬) ও যুবলীগের কর্মী সোহাগ হোসেন (২২)। তাঁদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, মাদক দ্রব্য বেচা-কেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হামলা ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আহত দুজনের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে।

আহত রেদওয়ান সাব্বির ও সোহাগ হোসেনের ভাষ্য, বেলা দুইটার দিকে সাব্বিরকে নিয়ে সোহাগ মোটরসাইকেলে তেবাড়িয়া এলাকা থেকে মল্লিকহাটি এলাকায় আসছিলেন। তাঁরা মল্লিকহাটি আমবাগানের কাছে পৌঁছালে যুবলীগের কর্মী সেন্টু আলীসহ চারজন তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় পিস্তল থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। একটি গুলি সাব্বিরের ডান হাতে ও একটি গুলি সোহাগের বাঁ পায়ে লাগে। হামলাকারীরা দ্রুত চলে গেলে স্থানীয় লোকজন তাঁদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সাব্বির প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সেন্টু ও তাঁর সহযোগীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন।’
সাব্বিরের বাড়ি শহরের কানাইখালী এলাকায়। তিনি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। এলাকায় তাঁর নির্বাচনী ফেস্টুন ও পোস্টার সাঁটানো রয়েছে।
সোহাগ হোসেনের বাড়ি মল্লিকহাটি এলাকায়। তিনি জানান, তেবাড়িয়া এলাকার ফিলিং স্টেশন থেকে মোটরসাইকেলে পেট্রল ভরে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।
ওই ঘটনার পর থেকে সেন্টু আলী পলাতক। একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন না ধরায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুজাহিদ হোসেন জানান, আহত ব্যক্তিরা গুলিতে জখম হয়েছেন। জরুরি বিভাগে সোহাগের বাঁ পায়ের নিচের অংশে অস্ত্রোপচার করে একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যজনের শরীরে গুলি পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, মাদক বেচা-কেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারে। সাব্বির ও সেন্টুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।