আখাউড়ায় হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় গতকাল শুক্রবার পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ আসামি দেলোয়ার হোসেনকে তাঁর স্বজন ও সহযোগীরা ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই হামলায় এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দেলোয়ারের বাবা মহরম আলী, বোন মিনারা বেগম ও রুনা বেগম, ছোট ভাই মনির হোসেনের স্ত্রী সুমি আক্তার, সহযোগী একই এলাকার রঙ্গু মিয়ার স্ত্রী হামিলা বেগম।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ার উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুরের কৌড়তলী এলাকার বাসিন্দা। গতকাল সকালে দেলোয়ার কৌড়তলী এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে মাদক নিয়ে বিজয়নগরে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে সকাল নয়টার দিকে এসআই আবদুল করিম চারজন কনস্টেবল নিয়ে আজমপুরের আমোদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। আমোদাবাদ এলাকায় দেলোয়ারের মাইক্রোবাসটি থামাতে সংকেত দেয় পুলিশ। কিন্তু দেলোয়ার দ্রুতগতিতে মাইক্রোবাসটি পুলিশের ওপর তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা রাস্তার পাশে ছিটকে পড়েন। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি রাস্তার পাশের বিদ্যুতের খুঁটিতে আটকে যায়। পরে পুলিশ দেলোয়ারকে আটক করে হাতকড়া পরায়। খবর পেয়ে দেলোয়ারের স্বজন ও সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা হাতকড়াসহ দেলোয়ারকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। হামলায় এসআই আবদুল করিম, কনস্টেবল গোলাম মোস্তফা, নয়ন বিকাশ চাকমা আহত হন। পরে একদল পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আখাউড়া থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আখাউড়া, নরসিংদীর বেলাব থানাসহ বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, নবীনগর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. আলাউদ্দিনকে ঘটনাটি তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেলোয়ারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।