কর্মপরিকল্পনার ঘোষণা চান সন্তু লারমা

সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা। এই চুক্তি বাস্তবায়নে আন্দোলন গড়ে তুলতে সমিতির পক্ষ থেকে দেশের গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল-সংগঠন ও সমাজের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সময়সূচিভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান সন্তু লারমা।

জনসংহতি সমিতির সভাপতির অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে—জুম্ম-অধ্যুষিত অঞ্চলে বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের জন্য আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ, ‘সেটেলার বাঙালিদের’ পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজন পুনর্বাসন, চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা ইত্যাদি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ২ ডিসেম্বর বুধবার রাঙামাটি জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে গণসমাবেশ করবে জনসংহতি সমিতি।

সন্তু লারমা আরও বলেন, জুম্ম জনগণ তাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে আত্মবলিদানে ভীত নয়। তাঁরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য সরকার তথা শাসক দায়ী থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সৈয়দ আবুল মকসুদ, মেজবাহ কামাল, সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ।