বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না

বিশ্বে নানা ঘটনা ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্রে অফিসে ঢুকে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশকেও অস্থির করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ থামাতে পারবে না। চট্টগ্রামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশান মিলনায়তনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু নাগরিক স্মরণসভা কমিটি এ সভার আয়োজন করে।
তোফায়েল আহমেদ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য খালেদা জিয়া অনেক আন্দোলন করেছেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি। ৯২ দিন হরতাল, হত্যা, নির্যাতন, পুলিশ হত্যা—সবকিছু করেও দেশের অগ্রযাত্রাকে তিনি বাধাগ্রস্ত করতে পারেননি।
আখতারুজ্জামান বাবুর স্মৃতিচারণা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর চরম দুর্দিনে বাবু ভাই আওয়ামী লীগের হাল নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে আমাদের নেত্রী যখন স্বজনহারানোর বেদনা নিয়ে দেশে ফিরলেন, তখন বাবু ভাই আমাদের পাশে ছিলেন। তখন আমাদের অর্থের প্রয়োজন ছিল পাঁচ লাখ টাকা। রাজ্জাক ভাই এবং আমি অর্থ সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েছিলাম। বাবু ভাই আমাদের অর্থ দিয়েছিলেন। আমাদের নেত্রী যখন দেশে ফিরলেন, তখন আমাদের কোনো গাড়ি ছিল না। বাবু ভাই গাড়ি সংগ্রহ করে দিলেন।’
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন। বক্তব্য দেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ছেলে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী আফসারুল আমিন, সাংসদ মঈনউদ্দিন খান বাদল, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভি, সিপিবির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, ইউএসটিসির উপাচার্য প্রভাত রঞ্জন বড়ুয়া, চট্টগ্রামের পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।