টাকার জন্যই শিশু হাফসাকে হত্যা করা হয়

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শিশু শ্রেণির ছাত্রী হাফসা আক্তার রূপাকে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুই আসামি ফজলে রাব্বি ও মো. মামুন। গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইশতিয়াক আহম্মেদের আদালতে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাফসা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি ফজলে রাব্বি ও মামুন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওসি বলেন, গত বুধবার রাতে উপজেলার গিরদা এলাকার একটি ময়দানে বসে আসামি সুমন, ফজলে রাব্বি, শাহাজাহান, সোহান, মামুন, শফিকুর ও রাকিব মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায়ের জন্য হাফসাকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে বাড়ির পাশে হাফসা খেলা করছিল। তখন সুমন, শফিক ও মামুন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে ফজলে রাব্বি মুঠোফোন থেকে গিরদা বাজারের ফ্লেক্সিলোডের দোকানের মালিক লোকমানকে কল দিয়ে হাফসাকে অপহরণের কথা জানান। পাশাপাশি সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মেয়েকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য হাফসার মা লিপি আক্তারকে খবর দিতে বলেন তিনি। রাতে পুলিশের তৎপরতা বাড়লে কোনো একসময় হাফসাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন আরও জানান, ঘটনার পর লিপি আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আড়াইহাজারের বান্টি চৌধুরীপাড়ার মালয়েশিয়াপ্রবাসী হযরত আলীর মেয়ে হাফসার লাশ শুক্রবার ভোরে উদ্ধার করে পুলিশ।