তফসিল ঘোষণার আগেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি

পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই চাঁদপুরের কচুয়ায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়েছে। ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর দলীয় কার্যালয়ে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে এসব মনোনয়ন বিক্রি করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. কবির হোসেন বলেন, মেয়র পদে ১৩ জন, কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে চারজন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। মেয়র পদে প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের বিপরীতে ১০ হাজার, কাউন্সিলর পদে ৫ হাজার ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩ হাজার টাকা রসিদের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মেয়র পদে মনোনয়ন ফরম নেওয়া নেতারা হলেন কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মঞ্জুর আহম্মেদ সুজন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোতাহার হোসেন ওরফে দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আবদুল জব্বার বাহার, কার্যকরী কমিটির সদস্য আহসান হাবিব ওরফে প্রাঞ্জল, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আকতার হোসেন ভূঁইয়া, মাসুদ মিয়াজী, মো. মনির হোসেন প্রধান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কবির হোসেন, নুরুল আজাদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম ওরফে স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন।
তফসিল ঘোষণার আগে দলীয় মনোনয়ন বিক্রির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কবির হোসেন বলেন, ‘দল ক্ষমতায় থাকায় অনেকে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রার্থী ঠিক করতে আমরা দলের সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্ত না মানলে তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে।’
কচুয়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যে কারণে বিএনপির প্রার্থী হুমায়ুন কবির প্রধান অনায়াসে জয়ী হয়েছেন। ১৯৯৮ সালে কচুয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর একবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতেছেন। এ জন্য আওয়ামী লীগ এবার আটঘাট বেঁধে চেয়ারটি পুনরুদ্ধারে মাঠে নামছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়েছে। ওই টাকা দলের তহবিলে জমা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক প্রার্থীই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য। স্থানীয় সাংসদ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দু-এক দিনের মধ্যেই একক প্রার্থী ঠিক করা হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগে দলীয় মনোনয়ন বিক্রি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগ নেই।’