দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত

পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান খানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ পরিচালনা পরিষদ। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও কলেজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করায় গত শনিবার পরিষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরিষদের সভাপতি ও পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক জানান, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের কাছে অর্থ দাবি, কলেজের টাকা ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে রাখা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে ৪ নভেম্বর তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে দুদকও তাঁর বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় একটি মামলা করে। এ কারণে পরিষদের জরুরি সভায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়; সেই সঙ্গে সহকারী অধ্যাপক আবদুস সামাদ খানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়েছে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মনিরুল ইসলামের দায়ের করা মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আবদুল মান্নান সোনালী ব্যাংক, পাবনা শাখায় থাকা কলেজের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর থেকে ২০১১ সালে দুটি চেকের মাধ্যমে সাত লাখ ১০ হাজার ৪৫১ টাকা তুলে একটি ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের বকেয়া বিল পরিশোধ করেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে কলেজের কোনো বকেয়া ছিল না।
এদিকে অধ্যক্ষ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এখনো কোনো নোটিশ পাইনি। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই এসব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমিও এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী হানিফুল ইসলাম দুদকের মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।