প্রার্থী নিয়ে সংকটে আ.লীগ

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় বিপাকে পড়েছে দলটি। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত একজন মনোনয়প্রত্যাশী নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি।
এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনটি ধরে রাখতে দলের অনেক নেতা-কর্মী শেষ পর্যন্ত ১৯৯৬ সালের মতো এবারও দলীয়প্রধান শেখ হাসিনাকেই এই আসনে প্রার্থী হিসেবে চান।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান সাংসদ ননী গোপাল মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সোহেল, সাবেক সাংসদ ও বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পঞ্চানন বিশ্বাস এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম খান।
দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পঞ্চনন মণ্ডল বলেন, ‘দলের একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা শেখ হাসিনাকে প্রার্থী হিসেবে চাই।’
দলীয় সূত্রে জানা যায়, শেখ হারুনুর রশিদ প্রায় দুই বছর ধরে গণসংযোগ করছেন। এ ছাড়া পঞ্চানন বিশ্বাস এবং আরও দুই তরুণ নেতা শেখ সোহেল এবং আশরাফুল আলম খান জোরেশোরে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। এ আসনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মনোনীত প্রার্থী বটিয়াঘাটা উপজেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকারও গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টি এখানে তাদের প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায়ের নাম ঘোষণা করেছে।
বিএনপি তথা ১৮-দলীয় জোটের সম্ভাব্য একক প্রার্থী হিসেবে আছেন খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর এজাজ খান।
জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির শেখ আবুল হোসেন। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের শেখ হারুনুর রশীদ এবং ১৯৯৬ সালে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা এ আসন থেকে জয়লাভ করেন। পরে উপনির্বাচনে শেখ হারুনুর রশীদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পঞ্চানন বিশ্বাস জয়ী হন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডল জয়ী হন।
আশরাফুল আলম খান বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি মনোনয়ন পাব।’ শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচনে এবার তিনি প্রার্থী হতে আগ্রহী। ননী গোপাল মণ্ডল বলেন, নির্বাচনের আগে অনেক দলাদলি থাকে। দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তাঁকে নিয়ে কাজ করতে হবে।
বটিয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের দল নির্বাচনে অংশ নিলে সে ক্ষেত্রে আমীর এজাজ খানই আমাদের একমাত্র প্রার্থী। কেন্দ্র থেকে আমাদের এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। আমীর এজাজ খান বলেন, ‘নিয়মিত গণসংযোগ করছি। মানুষের পাশে আছি। আশা করছি এবার জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবেন।’