নাগেশ্বরীতে মার্কা পেয়েই মাঠে

পৌরসভা নির্বাচন
পৌরসভা নির্বাচন

মার্কা (নির্বাচনী প্রতীক) পেয়েই নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে নেমে পড়েছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। গতকাল সোমবার দুপুরে নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার অনেক পরও জেলার তিনটি পৌরসভার অন্য দুটি কুড়িগ্রাম ও উলিপুর ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত। কিন্তু নাগেশ্বরী গিয়ে দেখা গেল পুরোপুরি নির্বাচনী আমেজ।
নাগেশ্বরী পৌর এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেল, প্রার্থীরা নেতা-কর্মীসহ রাস্তায় নেমে এসে তুমুল করতালি ও স্লোগানে মেতে উঠেছেন। কেউ কেউ ভোটারদের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করছেন। কোলাকুলি আর কুশল বিনিময়ের অন্য রকম এক দৃশ্য চোখে পড়ল সেখানে।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আবদুর রহমানের সঙ্গে দেখা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল আজিজের। এ সময় দুজন করমর্দন করে পরস্পর কুশল বিনিময় করেন। উপস্থিত ভোটারদের সামনে প্রতিশ্রুতি দেন নির্বাচিত হলে প্রতিহিংসা নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবেন। সেখানে ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেরিয়ে আসার পর সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা মোহাম্মদ হোসেনকে শুভেচ্ছা জানান।
নির্বাচনী কার্যালয় থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বাইরে আসেন বিএনপির প্রার্থী আদম আলী। উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি দোয়া চান। এ সময় আদম আলী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের পাল্লা তাঁর দিকে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল আজিজ দলবলসহ নারকেলগাছ প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েন।
এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে আসে। জেঁকে বসে কনকনে ঠান্ডা। মিছিল নিয়ে আসেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মমিনুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ডালিম মার্কা। আসেন একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল ছালাম, তাঁর প্রতীক টেবিল ল্যাম্প।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াৎ মো. রহমতুল্লা বলেন, নাগেশ্বরী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর নয়টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৮ জন অংশ নিচ্ছেন।