ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস

কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভায় বিএনপির আলমগীর খান, আওয়ামী লীগের মফিজুল ইসলাম ও একই দলের ‘বিদ্রোহী’ আবদুল মান্নান সরকারের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। পৌরসভার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

চান্দিনা পৌরসভার সচিব ফয়েজ আহাম্মদ বলেন, ১৯৯৭ সালে পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময়ে বিএনপির সমর্থন নিয়ে প্রথমবারের মতো আবদুল মান্নান সরকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আইনি জটিলতার কারণে ২০০২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি দায়িত্ব নেন। ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারির দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত আলমগীর খান জয়ী হন। আবদুল মান্নান সরকার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় এবং আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মফিজুল ইসলাম তৃতীয় হন। এবার এই তিনজনই লড়ছেন। গতবারও এ তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার ইয়াছিন আলী বলেন, ‘তিনজনই হেভিওয়েট প্রার্থী। এবার দলীয় প্রতীক থাকায় ত্রিমুখী লড়াই জমবে। শান্তিপূর্ণ ভোটের আশা করছি। এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি, কাকে ভোট দেব।’ একই এলাকার ভোটার আবদুর রহমান ও নাছির উদ্দিন বলেন, সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে।

তুলাতলি এলাকার ভোটার নাজমা আক্তার বলেন, তিন প্রার্থীই দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতি করছেন। উড়ে এসে কেউ প্রার্থী হননি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘দলের মধ্যে এবার কোনো বিরোধ নেই। সবাই এককাট্টা হয়ে আমার পক্ষে কাজ করছেন।’

আবদুল মান্নান সরকার বলেন, ‘২৭ বছর আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়ে আমার শুরু। এরপর ফ্রিডম পার্টি, বিএনপি, এলডিপি হয়ে আবারও আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছি। দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। তাই পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের সেবক হিসেবে প্রার্থী হয়েছি।’

চান্দিনার বাসিন্দা ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী মফিজুল ইসলাম। আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী বলে কোনো প্রার্থী নেই।’

৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, বিএনপি সেটা প্রত্যাশা করে।