সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর

পাবনার সুজানগর পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেন।
নির্বাচনী কাজে বাধাদানসহ বিস্তর অভিযোগ তুলে গতকাল বুধবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ ও বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পৌরবাসীর ভোটে নির্বাচিত হয়ে সফলভাবে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ পৌরবাসী আবারও তাঁকে মেয়র হিসেবে চায়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাননি। দলীয় প্রধানকে ভুল বুঝিয়ে উপজেলার ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাবকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
তোফাজ্জল হোসেনের দাবি, পৌর এলাকায় আবদুল ওহাবের কোনো বসতবাড়ি নেই। তিনি পৌরসভার ভোটারও ছিলেন না। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে শুধু নিজের ভোটটি স্থানান্তর করে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও পৌরবাসী আবদুল ওহাবকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন। তাঁর সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ প্রতিটি সংগঠনের অধিকাংশ নেতা-কর্মী কাজ করছেন। কিন্তু প্রচারণা চালাতে গিয়ে তাঁদের বিভিন্নভাবে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
তোফাজ্জল হোসেনের অভিযোগ, সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী আবদুল ওহাব নির্বাচনী কাজে গুন্ডা ও চরমপন্থীদের ব্যবহার করছেন। তাঁরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। প্রচারণা চালাতে গেলেই তাঁর কর্মীদের ওপর হামলা ও মারধর করছেন। বেশ কয়েকজন কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন। কিন্তু বিষয়গুলো লিখিত ও মৌখিকভাবে কয়েক দফা উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সুজানগর থানা পুলিশকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বারবার ডাকলেও পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।
ফলে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে তোফাজ্জল হোসেন ভোট গ্রহণের দিন সুজানগর পৌর এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারেজ মোল্লা, সদস্য মুশফিকুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম মমতাজ উদ্দিন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আহসান আলী বিশ্বাস ও উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তওহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।