পুলিশি পাহারায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার গণসংযোগ

কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহনাজ আক্তারের পক্ষে পুলিশি পাহারায় প্রচার চালিয়েছেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক। গতকাল বুধবার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাদ্রা এলাকায় তিনি উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন।
বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী অভিযোগ করেন, গতকাল সকাল আটটার দিকে পৌরসভার কাদ্রা এলাকায় গণসংযোগ করতে যান লাকসাম উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বতম সাহা বিশু ও পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার ওরফে মামুন। এ সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীরা তাঁদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। একই সঙ্গে তাঁদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ছাড়া সকাল নয়টায় উত্তরকূল এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপির কর্মী হারুনুর রশিদের দোকানে হামলা চালিয়ে লুট করা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের কর্মী ফিরোজ আলমসহ অন্তত চারজন আহত হন। এ ছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শামসুজ্জামানকে মারধর করা হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লাকসামে অবস্থানরত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক পুলিশের সহযোগিতা চান। এরপর পুলিশি পাহারায় গতকাল বেলা তিনটায় কাদ্রা এলাকায় বৈঠক করতে যান তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ আনোয়ারুল আজিম, বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহনাজ আক্তার ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মেয়র মজির আহমেদ প্রমুখ।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। চান্দিনার মতো ঘটনা এখানে হয়নি।’
লাকসাম থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের উঠান বৈঠক শান্তিপূর্ণ করার জন্য পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করেছে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী কারও ওপর হামলা করেনি। উল্টো আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। লাকসামে কাউকে আমরা বাধা দিচ্ছি না।’
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে চান্দিনা পৌরসভার তুলাতলি এলাকায় উঠান বৈঠক করার সময় তাঁর অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।