নজিবের সঙ্গে নেই তৃণমূল বিএনপি

ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মো. নজিবউদ্দৌলাকে। তবে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিরুল ইসলাম খান ওরফে চুন্নুর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া নজিবউদ্দৌলার (নজিব) বাড়ি শহরের বৈঁচিতলা এলাকার। তিনি একসময় মহেশপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ব্যবসার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতি করছেন। আর বিদ্রোহী প্রার্থী আমিরুল ইসলাম পৌর বিএনপির সদস্য ও বর্তমান মেয়র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বেশির ভাগ বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। দলের মহেশপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাবেক সাংসদ শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান ওরফে রিপনসহ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আমিরুল ইসলামের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। পাড়ায় পাড়ায় তাঁরা সভা করে ফিরছেন। ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে পৌর এলাকার বেগমপুর গ্রামে এক সভায় ভোট চান এই নেতারা। সেখানে তাঁরা দাবি করেন, আমিরুল ইসলামই বিএনপির প্রার্থী। সামান্য ভুল-বোঝাবুঝির কারণে চিঠিটা পেয়ে যান নজিবউদ্দৌলা। তিনি কখনোই বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন না।
নজিবউদ্দৌলা বলেন, তিনি দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। দলের সঙ্গে যুক্ত সবার উচিত দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা। কিন্তু বিশেষ কারণে তাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তিনি বলেন, দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার পরও তাঁকে (আমিরুল ইসলাম) দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি, বরং বিদ্রোহী প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়েই নেতারা ঘুরছেন। তিনি শুধু সাইফুল ইসলাম নামের এক নেতাকে সঙ্গে পেয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি বিষয়টি কেন্দ্রকে জানিয়েছেন।
আমিরুল ইসলাম খান বলেন, তিনি দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দলের নেতারা বুঝতে পেরেছেন, তাঁর পক্ষেই নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব। এ কারণে তাঁরা জয় নিশ্চিত করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মহেশপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান বলেন, কেন্দ্রের মৌখিক নির্দেশে তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান বলেন, দল মনোনীত প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান। তখন দলের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বলা হয়। তাঁরাও নেমে পড়েন। পরে দল মনোনীত প্রার্থী উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পান। কিন্তু তাঁরা এক প্রার্থীর পক্ষে নেমে আর ফিরে আসতে পারেন না। এ কারণে তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করছেন।