বিশদ তথ্য প্রকাশের আহ্বান টিআইবির

জনস্বার্থে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে সরকারে প্রতি এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ ডিসেম্বর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি সম্পাদন তুলনামূলকভাবে কম মাত্রার কার্বন নিঃসরণযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে সরকারের এক ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করছে টিআইবি।
একই সঙ্গে টিআইবি মনে করে, এ ধরনের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল প্রকল্প, যার জন্য কারিগরি ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশকে সরবরাহকারীর ওপর প্রায় পুরোপুরি নির্ভর করতে হবে বিধায় জনস্বার্থে উক্ত চুক্তির প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতা ও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট বিশদ তথ্য প্রকাশ করা উচিত।
বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যে রাশিয়ার পারমাণবিক চুল্লিগুলো ব্যাপকভাবে, এমনকি খ্যাতিসম্পন্ন রাশিয়ান বিশেষজ্ঞের মতেও অনিরাপদ ও অনির্ভরযোগ্য বলে বিবেচিত।
এ ছাড়া রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত দুটি প্রতিষ্ঠান রোসাতোম ও গ্যাজপ্রমব্যাকের যৌথ মালিকানাধীন অ্যাটমট্রয়েক্সপোর্ট কোনো দুর্ঘটনায় সরবরাহকারীর দায় নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত নয়।’
বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘এ বছরের সেপ্টেম্বরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী উক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মোট ব্যয় প্রায় চার বিলিয়ন ডলার হলেও মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে প্রকল্প ব্যয় তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৩ বিলিয়ন
ডলারে উন্নীত হওয়ায় এ নিয়ে অনেক ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে।’ যেহেতু শেষ বিচারে বাংলাদেশের জনগণকেই এই প্রকল্পের বোঝা বইতে হবে, সেহেতু এ ব্যাপারে সব প্রাসঙ্গিক তথ্য জানার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।