খালেদার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার তাঁর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আমিনুল ইসলাম এই তারিখ ধার্য করেন। আজ সোমবার এই মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন ছিল। তবে খালেদা জিয়া অসুস্থ ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। এ কারণে আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে ৩০ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এ খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। ওই দিন এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। আসামিপক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ৯ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং রুল দেন। প্রায় সাত বছর পর গত ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।