বিদ্রোহী প্রার্থীকে চাপ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর পৌরসভায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মীর মো. শাজাহান অভিযোগ করেছেন, তাঁকে নির্বাচন থেকে সরাতে নানা হুমকি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে।
মো. শাজাহান বলেন, বাশারের কর্মীরা তাঁকে প্রচারণা থেকে বিরত রাখতে তাঁর সমর্থকদের মারধর করছেন। রাতে তাঁর সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে মামলার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
শাজাহানের সমর্থক আজিমপুর গ্রামের তফছের আলী সিঙ্গাইরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বাসায় ঢোকার সময় বাশারের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসে করে এসে কয়েকজন যুবক তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা করেন। তবে তিনি দৌড়ে ঘরে ঢুকে যাওয়ায় রক্ষা পান। এর আগে ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে পুলিশ তাঁর বাসায় অভিযান চালায়।
এদিকে আবু নাঈম মো. বাশার তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার অভিযোগে গত শনিবার রাতে একটি মামলা করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে মো. শাজাহানের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পৌর এলাকার গোলড়া চৌরাস্তা মোড়ে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্পে গিয়ে ১০-১৫ জন সমর্থককে ধাওয়া করেন। এরপর ক্যাম্প ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে এক লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়। এ ঘটনায় মো. বাশার ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খানকে প্রধান আসামি করা হয়। মুশফিকুর রহমান নির্বাচনে শাজাহানকে সমর্থন করছেন। এ ছাড়া মামলায় শাজাহানের চাচাতো ভাই গফুর মীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. বাশার বলেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে শাজাহান ও তাঁর লোকজন এ ঘটনা ঘটান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
সিঙ্গাইর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ওই প্রার্থীর এ ধরনের অভিযোগ তাঁর জানা নেই।