ওয়াগ্গাছড়ায় সেতুর অভাবে দুর্ভোগ চার ইউনিয়নের মানুষের

কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গাছড়া ইউনিয়নের ওয়াগ্গাছড়ার ওপর সেতুর অভাবে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চার ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ধরনা দিলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। স্থানীয় কালীমন্দিরের উদ্যোগে প্রতিবছর পূজা উপলক্ষে এটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হলেও তা তিন-চার মাসের বেশি সময় টেকে না।
এলাকাবাসী জানান, ওয়াগ্গাছড়ার ওপর দিয়ে ওয়াগ্গাছড়া ইউনিয়ন ছাড়াও চিৎমরম, শীলছড়ি ও বড়ইছড়ি ইউনিয়নের লোকজন উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকায় যাতায়াত করে। ছড়ায় শুষ্ক মৌসুমে হাঁটুসমান পানি ও বর্ষাকালে বুকসমান পানি থাকে। ছড়ার ওপর কোনো সেতু না থাকায় এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে পানির মধ্য দিয়ে হেঁটেই ছড়া পার হতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা ব্যাহত হচ্ছে।
প্রায় ৩০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সেতু রয়েছে ছড়ার ওপর। শিশুশিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে সাঁকো পার হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও কর্ণফুলী কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বাবলু বিশ্বাস বলেন, সারা বছরই পানি থাকায় জুতা-প্যান্ট পরে ছড়া পার হওয়া যায় না। বিশেষ করে শিশুশিক্ষার্থীরা সেতু পার হতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। ওয়াগ্গা কালীমন্দিরের সেবক গৌরাঙ্গ মোহন বিশ্বাস জানান, পূজা-অর্চনা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তরা প্রায় সময় মন্দিরে আসেন। বিশেষ করে দীপাবলি ও শ্যামাপূজার সময় মন্দিরে অতিথি-ভক্তদের ভিড় বাড়ে। সংশ্লিষ্ট সবার যাতায়াতের সুবিধার জন্য কালীমন্দিরের উদ্যোগে প্রতিবছর বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করা হয়। কিন্তু ছড়ায় পানির স্রোতের কারণে সাঁকোটি তিন-চার মাসের বেশি সময় টেকে না।
জানতে চাইলে ওয়াগ্গাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অং হ্লা চিং মারমা বলেন, ছড়ার ওপর সেতু নির্মাণ একটি বড় কাজ। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে তা সম্ভব নয়।