'এটা আমাদের জন্য অপমান'

শাজাহান খান
শাজাহান খান

কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রত্যাহার করতে বলার নিন্দা জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচারের আহ্বায়ক শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য অপমান। তাঁর কোনো দোষ নেই।’

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় বহাল রাখার দাবিতে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে শাজাহান খান এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার নামের একটি সংগঠন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা আটকে দুটি ট্রাক দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। যদিও সকালেই সর্বোচ্চ আদালত নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।

শাজাহান খান বলেন, ‘যতই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হচ্ছে পাকিস্তানের গা জ্বালা বাড়ছে। এ জন্য তারা একেকটা ফাঁসির পর একেক ধরনের মন্তব্য করছে। আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন পাকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে একজন কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য অপমান। তাঁর কোনো দোষ নেই। পাকিস্তানের দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়ার জন্য তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। সেই কারণে আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তার প্রতি এ ধরনের অপমানজনক ও ন্যক্কারজনক আচরণ করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী সেনাসদস্যের বিচারের দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে গণসংযোগ শুরু করবে। আর ১৭ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে সংগঠনটি।


১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাসহ একাত্তরের সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত রাখার জন্য অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে শপথ পাঠ করান শাজাহান খান।

শপথে বলা হয়, ‘আমরা শপথ করছি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাজাকার, আল বদর, জামায়াতে ইসলামীসহ যারা অপরাধ করেছিল সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনকে ধর্ষণ করেছে, আমাদের সম্পদ লুট করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে-সেই পাকিস্তানি সৈন্যদের বিচার করতে না পারব; তত দিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’