সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে নারীরা

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বলেছেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষ যেসব অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের অবস্থা আরও করুণ। গতকাল বুধবার বিকেলে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে স্বাস্থ্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
সন্তু লারমা বলেন, নারী-পুরুষের অধিকার নিয়ে যে বিতর্ক তা খুবই বাস্তব। শুধু জীবনযাত্রায় নয়, নারীরা সবক্ষেত্রে শোষিত, বঞ্চিত, অবহেলিত। অথচ নারীদের অগ্রগতি ছাড়া সমাজ এগিয়ে যেতে পারবে না। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ এ বিভাগটিও এখনো পরিপূর্ণভাবে হস্তান্তরিত হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ স্পষ্টভাবে অবগত নয়।
অনুষ্ঠানে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেন, সরকারি হাসপাতালে এসে নারীরা ভালো ব্যবহার ও স্বাস্থ্যসেবা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীরা যেন হাসপাতালে এসে মর্যাদাকরভাবে স্বাস্থ্যসেবা পান তা নিশ্চিত করতে হবে।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন লহ কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপমহাব্যবস্থাপক দেওয়ান মেহেদি হাসান, নারীপক্ষের প্রতিনিধি বেগম শামসুন্নেসা, আইনজীবী সুস্মিতা চাকমা, বেসরকারি সংস্থা হিমাওয়ান্তির চেয়ারপারসন টুকু তালুকদার।
মেলা উপলক্ষে নারী ও শিশুদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ প্রদান, পুলিশ প্রশাসনের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যমেলা উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লেকার্স পাবলিক স্কুল ও কলেজ। প্রতিযোগিতায় রানারআপ বি এম ইনস্টিটিউট।
গত বুধবার মেলার উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) অর্থায়নে বেসরকারি সংস্থা ‘নারীপক্ষ’ ও ‘হিমাওয়ান্তি’র সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই স্বাস্থ্যমেলা আয়োজন করে।