ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সোহাগ বাস কাউন্টারসহ অন্তত ১০টি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ লোকজন। ছবি: শাহাদাত্ হোসেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সোহাগ বাস কাউন্টারসহ অন্তত ১০টি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ লোকজন। ছবি: শাহাদাত্ হোসেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষে বুলেট মিয়া (৩০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে পৈরতলা ও সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

আহত লোকজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও আশেপাশের ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সোহাগ বাস কাউন্টারসহ অন্তত ১০টি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা লিংকন, সৈকত ও আরও কয়েকজনের সঙ্গে এক অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় পাশের গ্রাম সরকারপাড়ার বাসিন্দা বুলেট মিয়া অটোরিকশাচালকের পক্ষ নিয়ে এগিয়ে এলে লিংকন ও সৈকতের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রামের বাসিন্দারা অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

তারা দোকানপাট ও গাড়ি ভাঙচুর করে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পৈরতলা গ্রামের লোকজন গুলি ছুড়লে বুলেট মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিত্সক সাখাওয়াত হোসেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে বুলেটের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) কামাল পাশা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। দুই গ্রামেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এদিকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সোহাগ বাস কাউন্টারসহ অন্তত ১০টি দোকান জ্বালিয়ে দেয়। এতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।