ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমেরিটাস আনিসুজ্জামান বলেছেন, ‘ষাটের দশক আমাদের দেশের সোনালি দশক। সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এটা ছিল বিদ্যাচর্চার দশক। এই দশক আমাদের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তখন যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তারই প্রতিফলন মুক্তিযুদ্ধ।’
গতকাল রোববার রাজধানীর পল্টনে মণি সিংহ-ফরহাদ ট্রাস্ট ভবনের শহীদ তাজুল মিলনায়তনে শেখর দত্ত লিখিত ষাটের দশকের গণ জাগরণ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমাজ বিকাশ প্রকাশনী বইটি প্রকাশ করেছে।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের দেশের ইতিহাসে প্রত্যেকটি দশকেরই একটা নিজস্ব চরিত্র আছে, একটা কেন্দ্রবিন্দু আছে। আমরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন এবং চুয়ান্নর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পঞ্চাশের দশক দেখতে পারি। একইভাবে সত্তরের দশক মুক্তিযুদ্ধ ও প্রতিবিপ্লবের সময়। তবে ইতিহাস মাত্রই কিছু বিতর্কের বিষয় রয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ষাটের দশকের আন্দোলনের সময় সান্ধ্য আইন ভাঙা হবে কি না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে দোদুল্যমানতা ছিল। কিন্তু জনগণ ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিল।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২৪ জানুয়ারি উজ্জ্বলতম দিন। ২৪ জানুয়ারি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পথ প্রশস্ত করেছিলাম, সেই পথ বেয়েই দেশ স্বাধীন হয়।
ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, এই বইয়ের মাধ্যমে ষাটের দশকের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটি একটি আকরগ্রন্থ হতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাবেক ছাত্রনেতা খালেদ মোহাম্মদ আলী, মহিলা পরিষদের সভানেত্রী আয়েশা খানম প্রমুখ। লেখক শেখর দত্ত বলেন, ‘বইটি কাজে লাগলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।