ভুলে ভরা পাঠ্যবই নিয়ে সাংসদের ক্ষোভ

নিম্নমানের ও ভুলে ভরা পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের দেওয়ায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী। আজ বৃহস্পতিবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে নিম্নমানের ছাপা ও ভুলে ভরা বইয়ের জন্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। ভুলভ্রান্তিতে ভরা পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। 

রুস্তম আলী এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের বিবৃতি দাবি করেন। তিনি বলেন, এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। বছরের প্রথম দিনে হাতে বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা খুশি। একদিনে কোটি কোটি বই বিতরণে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। কিন্তু যারা বই ছাপে, তাদের মধ্যে একটা কারসাজি রয়েছে। তারা নিম্নমানের বই ছাপিয়েছে। বই দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মলাট খুলে গেছে।
রুস্তম আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু কবে দেশে ফিরেছেন? পঞ্চম শ্রেণির বইয়ে সালটা দিলেন একটা, তারিখ দিলেন আরেকটা। সপ্তম শ্রেণির বইয়ের একটি কবিতায় দুইটি চরণ লেখাই হয়নি। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জসীমউদদীনসহ বিভিন্ন কবির কবিতায় এ রকম ভুল হয়েছে। এটা দেখলেন কারা? এটা কী করে হলো? কেউ কী দেখেন না? পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর মতো জাতীয় দায়িত্ব যাঁরা পালন করেছেন, তাঁদের এটা দেখে বাজারে ছাড়া উচিত ছিল। কারা বারবার এ ধরনের নিম্নমানের বই ছাপিয়ে সরকারের টাকা অপচয় করেছে, একটি কমিটি করে তদন্ত করে দেখা উচিত।
অনির্ধারিত আলোচনার পর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়। এরপর সংসদের অধিবেশন ৩১ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।