বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার পেল ৮৬২ জন

রাজশাহীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে গতকাল পুরস্কার তুলে দেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। পাশে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদসহ অন্য অতিথিরা l ছবি: প্রথম আলো
রাজশাহীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে গতকাল পুরস্কার তুলে দেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। পাশে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদসহ অন্য অতিথিরা l ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার পেয়েছে ৮৬২ জন শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
সকাল নয়টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, বই মানুষের হৃদয়কে সুন্দর করে, আলোকিত করে, জীবনকে করে সমৃদ্ধ। আর সমৃদ্ধ হৃদয়ের মানুষেরাই পারে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিকশিত মানুষ হতে হলে শুধু স্কুলের বই নয়, তোমাদের পাঠ্য হবে যাবতীয় বিশ্ব।’ তিনি আরও বলেন, পড়াশোনায় দেশের মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। এটা হয়েছে বই পড়ার মাধ্যমে। বই হচ্ছে মানুষের ঘনীভূত জ্ঞান।
অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মুনির হোসেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র নাটোর শাখার সংগঠক ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অলোক মৈত্র, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মকবুল হোসেন, রাজশাহী মহানগর শাখার সংগঠক সোমা আহমেদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মো. মাসুদ ও গ্রামীণফোন রাজশাহীর হেড অব রিজওনাল ইমতিয়াজ আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ডেপুটি টিম লিডার (প্রোগ্রাম) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় সারা দেশে প্রায় দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বইপড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। ২০১৫ সালে রাজশাহী নগরের ৩৪টি স্কুলের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে মূল্যায়ন পর্বে যারা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে, তাদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ৫৯৯ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার ২০৫ জন, অভিনন্দন পুরস্কার ৪১ জন ও সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ১৭ জন শিক্ষার্থী।